বেগমপাড়ায় ছুটছেন সাহেবরা
বেগমপাড়ায় ছুটছেন সাহেবরা -এটি কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এ খবরে বলা হয়েছে, ঘুষ, দুর্নীতিসহ নানা অবৈধ উপায়ে দেশের সাধারণ মানুষের টাকা লুটে নিয়ে একদল বিলাসী জীবন যাপন করছে কানাডার বেগমপাড়ায়, কেউ বা দুবাই, মালয়েশিয়ায়-সিঙ্গাপুরে।
দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, সুবিধাবাদী আমলা, ক্ষমতার শীর্ষ মহলের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে এখন লাপাত্তা।
একসময় ওইসব ‘সাহেব’ দেশে টাকা লুট করতেন, আর তা নিজেদের বউ-বাচ্চাদের ‘বেগমপাড়া’ কিংবা ‘সেকেন্ড হোমে’ বিলাসী জীবনযাপনের জন্য পাঠাতেন।
এখন ওই ‘সাহেব’দেরও অনেকে ‘বেগম’দের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর রীতিমতো কানাডার ‘বেগমপাড়া’ কিংবা সেকেন্ড হোমে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া রাজনীতিবিদ, আমলা আর ব্যবসায়ীর ভিড় বেড়েছে বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, মামলা, জেল-জরিমানা আর শাস্তির ভয়ে তাঁরা বিভিন্ন উপায়ে ওই সব উন্নত দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন।
তবে সরকার এঁদের পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টা এরই মধ্যে অন্তত পাচারের এক লাখ কোটি টাকা ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
ঢাকাকে কৌশলগত বার্তা দিতে চেয়েছেন রাজনাথ সিং’ সমকাল পত্রিকার প্রথম পাতার একটি শিরোনাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের নতুন সরকার নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছে না ভারত।
শেখ হাসিনা সরকারের কাছ থেকে দিল্লি ঢাকার কাছ থেকে যে ধরনের সুবিধা পেত, তাকে সমতার জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দিয়েছে।
ফলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতে কী ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে এবং তা মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে ভারতের সেনা নেতৃত্বকে নির্দেশনা দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
তার এ ধরনের বক্তব্যকে কৌশলগত বার্তা হিসেবে দেখছেন ঢাকার নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
‘মুক্ত খালেদা জিয়ার দিন কাটছে যেভাবে’ শিরোনামে মানবজমিন প্রথম পাতায় খবর প্রকাশিত হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, এক মাসেরও বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২১শে আগস্ট গুলশানের বাসায় ফেরেন দুর্নীতির দুই মামলার দণ্ড থেকে মুক্তি পাওয়া বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
মুক্তি পেলেও অসুস্থতার কারণে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না। যদিও ২৪ ঘণ্টাই চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন এখনো সুস্থ নন। আগে তিনি বন্দি ছিলেন, এখন মুক্ত।
দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসায় খালেদা জিয়া মানসিকভাবে স্বস্তিতে দিন কাটাচ্ছেন। শরীর কিছুটা ভালো থাকলে বই, পত্রিকা এবং টেলিভিশন দেখে সময় কাটান খালেদা জিয়া।
গত চৌঠা সেপ্টেম্বর রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে গুলশানের বাসভবনে দেখা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক।
বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার মতো শারীরিকভাবে এখনো সুস্থ নন খালেদা জিয়া।
মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ্যে কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যেতে চায়। বেশ লম্বা সময় ফ্লাই করার মতো শারীরিক অবস্থা হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়া হবে।
0 Comments